বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য ১০০ কোটি ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। শনিবার বাইডেন প্রশাসনের এই ঘোষণা আসে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে এই সহায়তা দ্রুত ইউক্রেনের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিবিএস জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সহায়তা প্যাকেজে ড্রোন, হিমার্স রকেট লঞ্চারের গোলাবারুদ, আর্টিলারি সিস্টেম, ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যানের যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ইনিশিয়েটিভের অধীনে এই সহায়তা সরবরাহ করা হবে। তবে, এ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছাবে না।
এর আগে, গত সোমবার বাইডেন প্রশাসন ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল, যেখানে ল্যান্ডমাইন, অ্যান্টি-এয়ার এবং অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়ের কারণে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা করছেন। ফলে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা না থাকলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কৌশল দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পক্ষে বৈশ্বিক সমর্থন সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি, রাশিয়ায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এমনকি ইউক্রেনকে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ডমাইন দেওয়ার বিষয়েও সম্মতি জানান তিনি।
বছরের শেষের দিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনে রুশ সামরিক কার্যক্রম আরও তীব্র হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অব্যাহত না থাকলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কৌশল গভীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
বাইডেন প্রশাসনের তড়িঘড়ি করে নেওয়া এই উদ্যোগ স্পষ্টতই ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য নীতিমালার আগে ইউক্রেনকে রক্ষায় একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.