আসামে বন্যায় ৩০ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের আসামে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের ১৫ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
বুধবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত মে মাসে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বন্যা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সবশেষ মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর এলাকায় ভূমিধসে এক নারী, তার তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার পার্থ প্রতিম দাস বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় বদরপুর থানার অন্তর্গত গাইনাচোরা (বেন্দরগুল) গ্রামে ভূমিধস হয়। খবর পেয়ে বদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্টাফ এবং এসডিআরএফ কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তিন ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষ থেকে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।’
আসামের স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির (এএসডিএমএ) তথ্য অনুসারে, করিমগঞ্জ হল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। এখানে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বন্যাকবলিত। এছাড়াও এ বন্যার কারণে ১৩৭৮.৬৪ হেক্টর ফসলি জমি ও ৫৪ হাজার ৮৭৭টি প্রাণী ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের ২৪টি রাজস্ব সার্কেলে ৪৭০টি গ্রাম জলমগ্ন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ত্রাণ প্রচেষ্টা চলছে। রাজ্যের ৫ হাজার ১৫৪ লোক ৪৩টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া, কামপুরের কপিলি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে বন্যার পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.