জোড়া গোল করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। একটি গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্ট করেন জুড বেলিংহ্যাম। একবার করে জালের দেখা পান ফেদে ভালভের্দে ও আর্দা গিলেরও।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় এই নিয়ে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত (২৪ জয় ও ৬ ড্র) রইল রেয়াল। এবার লিগে শুধু একটি ম্যাচই হেরেছে তারা, গত সেপ্টেম্বরে ষষ্ঠ রাউন্ডে আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে।
এবার লিগে ২০ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখল রেয়াল, স্পেনের শীর্ষ লিগে এক মৌসুমে যা তাদের ক্লাব রেকর্ড।
আলাভেসের বিপক্ষে জয়ে বড় অবদান থিবো কোর্তোয়ারও। ম্যাচজুড়ে দারুণ গোলকিপিং করে ১০টি সেভ করেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। কিছু সেভ ছিল দুর্দান্ত।
২০০৮ সালে ইকের কাসিয়াসের পর রেয়ালের প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে লা লিগার ম্যাচে ১০ বা এর বেশি সেভ করলেন তিনি।
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর ফিরে রেয়ালের হয়ে মৌসুমে তিন ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই জাল অক্ষত রাখলেন কোর্তোয়া। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবিটাও জানিয়ে রাখলেন তিনি। যেখানে লড়াইয়ে আছেন তার অনুপস্থিতিতে মৌসুমে দারুণ গোলকিপিং করা আন্দ্রি লুনিন।
শুরুর একাদশে ১০টি পরিবর্তন এনেও আগের ম্যাচে গ্রানাদাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল রেয়াল। আলাভেসের বিপক্ষে অবশ্য নিয়মিতদের প্রায় সবাইকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ আনচেলত্তি। ম্যাচ শুরুর আগে রেয়ালের খেলোয়াড়দের ‘গার্ড অব অনার দেয়’ আলাভেস।
দ্বিতীয় মিনিটে ডাবল সেভে জাল অক্ষত রাখেন কোর্তোয়া। কাছ থেকে আলাভেসের তরুণ ফরোয়ার্ড সামু ওমোরোদিওনের পরপর দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন তিনি।
রেয়ালে অভিষেক মৌসুমে লা লিগায় ১৯ গোল করে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার তিনিই। আসরে ইংলিশ মিডফিল্ডারের চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল জিরোনার ফরোয়ার্ড আর্তেম দোভিকের, ২০টি।
২০তম মিনিটে বেলিংহ্যামের পাসে বাম দিক থেকে ভিনিসিউসের শট পাশের জালে লাগে। সাত মিনিট পরই গোলের দেখা পেয়ে যান তিনি। বেলিংহ্যামের পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে পাস দেন ছয় গজ বক্সের মুখে, জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভিনিসিউস।
৩৭তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভ করেন কোর্তোয়া। বক্সের বাইরে থেকে ইয়ানিসের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন তিনি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ভালভের্দে। বেলিংহ্যামের পাস বক্সের বাইরে পেয়ে একটু ভেতরে ঢুকে বুলেট গতির শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন উরুগুয়ের এই ফুটবলার।
৫৬ ও ৫৭তম মিনিটে আরও দুটি সেভ করেন কোর্তোয়া। বক্সের বাইরে থেকে ওমোরোদিওনের শট আটকে দেওয়ার পর কাছ থেকে ইয়ানিসের প্রচেষ্টা ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি। পরের মিনিটে রদ্রিগোর শট ঠেকান আলাভেস গোলরক্ষক।
৭০তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান ভিনিসিউস। বেলিংহ্যামের থ্রু বল বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে জোরাল কোনাকুনি শটে গোলটি করেন তিনি।
এবারের লিগে ব্রাজিলিয়ান তারকার গোল হলো ১৫টি।
৮১তম মিনিটে আলাভেসের জালে পঞ্চম পেরেক ঢুকে দেন গিলের। বক্সে ঢুকে রদ্রিগোর নেওয়া শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর বল পেয়ে যান ৬২তম মিনিটে কামাভিঙ্গার বদলি নামা তুরস্কের তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। প্রথম স্পর্শে বাম পায়ের শটে জালে পাঠান তিনি।
রেয়ালের হয়ে সবশেষ চার ম্যাচে তার তৃতীয় গোল এটি।
৩৬ ম্যাচে ২৯ জয় ও ৬ ড্রয়ে রেয়ালের পয়েন্ট হলো ৯৩। এক ম্যাচ কম খেলে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে বার্সেলোনা। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে জিরোনা।
৩৬ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে আছে আলাভেস।
চার ম্যাচ বাকি থাকতে লিগ শিরোপা নিশ্চিতের পর ম্যাচগুলো রেয়ালের জন্য স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। তবে আগের দিন আনচেলত্তি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের প্রস্তুতির জন্য এই ম্যাচগুলোর গুরুত্ব তার কাছে কম নয়। ইউরোপ সেরার মঞ্চে ১৫তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলির ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে তারা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.