আন্দামানে শক্তিশালী নিম্নচাপ, রূপ নেবে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাব কাটতে না কাটতেই আসছে আরও ঘূর্ণিঝড়। এরই মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপটি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে।
ভারতের সরকারি আবহাওয়া বিভাগ ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) তাদের সবশেষ পূর্বাভাসে বলেছে, আগামী বুধবার (২৯ নভেম্বর) মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে এবং বঙ্গোপসাগর তথা বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, আন্দামান সাগরে চলতি সপ্তাহে একটি লঘুচাপ ঘণীভূত হতে পারে। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালেই দক্ষিণ আন্দামান সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটা লঘুচাপে পরিণত হয়। লঘুচাপটি এখন ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইডিএম।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, ‘এটি এখন পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং ২৯ নভেম্বরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপে ঘনীভূত হতে পারে। এরপর এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে হতে পারে।
অবশ্য উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাব্য গতিবিধি সম্পর্কে ও ল্যান্ডফল তথা আঘাত হানার সময় নিয়ে এখনও কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করেনি আইডিএম। তবে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। শেষপর্যন্ত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘মিগজাউম’।
এক্স-এ (টুইটার) এক পোস্টে আইডিএম এক আবহাওয়া সতর্কতায় বলেছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলে ভারি থেকে ভারি (১১৫ দশমিক ৬ থেকে ২০৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার) বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এদিকে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক আবহাওয়া কেন্দ্রের মডেল পূর্বাভাসে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রসর হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে। আর মিগজাউম আঘাত আনলে তা হবে চলতি বছর বাংলাদেশে চার নম্বর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্তমানে লঘুচাপটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এটি উপকূলে আঘাত আনতে পাঁচ থেকে সাতদিন সময় নিতে পারে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি একটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এরপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে উপকূলে আঘাত হানে। এরপর সেটি দুর্বল হয়ে আবারও নিম্নচাপে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয় মিধিলি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.