আদমদীঘিতে রেললাইনের উপড় পশুহাট, অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর রেলওয়ে স্টেশানে রেললাইনের উপড় বসানো হয়েছে কোরবানির পশু-হাট। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
রেলওয়ে কৃর্তপক্ষ রেললাইনের উপড় হাট বাজার না বসানোর অবগত এবং আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যাা হাট ইজারাদাকে পত্র দিলেও তা কার্যকর হয়নি।
এদিকে কোরবানিকে সামনে রেখে আদমদীঘি উপজেলার গো-হাট গুলোতে সরকারি রেট উপেক্ষা করে গবাদিপশুর অতিরিক্ত হারে হাসিল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরকারি নির্দেশনামতে জনসম্মুখে মুল্য তালিকা টাঙ্গিয়ে, গরু (বড় আকার) টোল ৫০০ টাকা, গরু (ছোট আকার) ৪০০ টাকা, মহিষ ঘোড়া ৫০০ টাকা এবং খাসি, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতি প্রতিটি ১৫০ টাকা ক্রেতাদের নিকট থেকে টোল আদায়ের করতে পারবেন ইজারাদার। অথচ তারা গরু প্রতি ৭শ থেকে ৮শ টাকা ও ছাগল প্রতি ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিনা রশিদে আদায় অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু তারা গরু প্রতি ৭শ থেকে ৮শ টাকা ও ছাগল প্রতি ৪শ থেকে ৫শ টাকা বিনা রশিদে আদায় অব্যাহত রেখেছেন। কোন কোন হাটে বিক্রেতার নিকট থেকেও টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে আদমদীঘি উপজেলায় আদমদীঘি সদর, সান্তাহার রাধাকান্ত হাট, নসরতপুর, কুন্দগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রাম, সাওইল, চাঁপাপুর, শিববাটীসহ বেশ কয়েকটি স্থানে কোরবানীর পশুর হাট বসে। প্রতি হাটেই বিপুল পরিমান কোরবানীর গরু ও ছাগলের আমদানি ও বিক্রি শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাট ইজারাদারগন সরকারি বিধি উপেক্ষা করে গোবাদিপশু ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নিকট থেকে খাজনা বা হাসিল আদায় করছেন। সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতিটি হাট বাজারে টোল আদায়ের তালিকা টাঙ্গিয়ে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা।
অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদার। তারা বিক্রেতার নিকট থেকেও পশু প্রতি নূন্যতম ১০০ টাকা করে হাসিল আদায় করছেন। পশু বিক্রি রশিদে গরু বা ছাগলের মূল্য ও আকৃতি লেখা হলেও হাসিল বা টোল আদায়ের অর্থের পরিমান লেখা হচ্ছে না।
এদিকে সরকারি নীতি উপেক্ষা করে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার নসরতপুর রেললাইনের উপড় ও প্লাটফরম দখল করে গো-হাট বসানো হয়েছে। ফলে ট্রেন যাতায়াতে মারাত্বক ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ট্রেন চলাচল ও হাটুরিয়ারা ঝুঁকিতে কেনাবেচা করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
কোরবানির গরু ক্রেতা আহাদ আলী জানায়, তিনি ৮২ হাজার টাকার একটি গরু কিনেছেন তার নিকট থেকে নেয়া হয়ে ৭০০ টাকা ও বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, তার নিকট থেকে ১০০ টাকা খাজনা নেয়া হয়েছে। রশিদ দেয়া হয়নি। গত কয়েক বছর নসরতপুর গোহাট বসেছিল একটি চাতালে। ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহি অফিসার নিশাত আনজুম অন্যন্যা জানান, হাটের নির্ধারিত জায়গা ছাড়া রেললাইনের উপড় হাট বসানো কিংবা অতিরিক্ত হারে খাজনা বা টোল আদায়ের কোন বিধান নেই। নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি নসরতপুর রেললাইনের উপড় গোহাট বসানো সরজমিনে তদন্ত করে ইজারাদারকে গোহাট অন্যত্র স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন। অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.