আতলেতিকোকে হারিয়ে এগিয়ে থাকল ইন্টার

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নেমে ১৫ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন মার্কো আর্নাতোভিচ। কিন্তু একের পর এক দারুণ সব সুযোগ হারালেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্যবধান গড়ে দিলেন তিনিই। আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে রইল ইন্টার মিলান।
মিলানের সান সিরোয় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। নির্ধারিত সময় শেষের ১১ মিনিট বাকি থাকতে গোলটি করেন আর্নাতোভিচ।
এই বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচের সবগুলোই জিতল সেরি আর টেবিলে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে থাকা ইন্টার।
এই নিয়ে স্রেফ দ্বিতীয়বার প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে দেখা হলো ইন্টার ও আতলেতিকোর। যেখানে এখন ১-১ সমতা। দুই দলের আগের একমাত্র সাক্ষাতে ২০১০ সালে উয়েফা সুপার কাপে ২-০ গোলে জিতেছিল আতলেতিকো।
প্রথমার্ধে দুই দলই বল দখলে রেখে খেলার চেষ্টা করে। এই সময়ে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই।
দ্বাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় লা লিগার দল আতলেতিকো। বক্সের ভেতর থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সামুয়েল লিনোর ডান পায়ের নিচু শট লক্ষ্যে থাকেনি।
পরের মিনিটে বক্সে আতলেতিকোর ডিফেন্ডার নাহুয়েল মোলিনার হাত বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করেন ইন্টারের ফুটবলাররা, তবে রেফারির সাড়া মেলেনি।
৩৭তম মিনিটে প্রথম কারও প্রচেষ্টা লক্ষ্যে থাকে। নিকোলো বারেল্লার ক্রসে কাছ থেকে লাউতারো মার্তিনেসের হেড অনায়াসে ঠেকান আতলেতিকোর গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।
পরের মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান মার্তিনেস। তার সামনে ছিল কেবল গোলরক্ষক, কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে শট নিতে দেরি করে ফেলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে যায় বল।
বিরতির আগে ২০ গজ দূর থেকে মার্কাস থুরামের নিচু শট সহজেই ঠেকান ওবলাক। প্রথমার্ধে ইন্টার গোলের জন্য আট শটের যে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, তার একটি এটি। আতলেতিকোর দুই শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
প্রথমার্ধে চোট পাওয়া থুরামের জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঠে নামার দুই মিনিট পরই সুযোগ পান আর্নাতোভিচ। তবে কাছ থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ৩৪ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান ফুটবলার। খানিক পর তার হেডও লক্ষ্যে থাকেনি।
হাঁটুর চোট কাটিয়ে ৫৪তম মিনিটে সাউল নিগেসের বদলি নামেন মৌসুমে আতলেতিকোর সর্বোচ্চ স্কোরার আলভারো মোরাতা। দুই মিনিট পরই একটি সুযোগ পায় সফরকারীরা। রদ্রিগো দে পলের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে দুরূহ কোণ থেকে বাইরে মারেন লিনো।
৬৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন আর্নাতোভিচ। মার্তিনেসকে পাস দিয়ে তিনি বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়েন। সতীর্থের ফিরতি পাস পেয়ে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে উড়িয়ে মারেন তিনি।
অবশেষে ৭৯তম মিনিটে গোলের দেখা পায় ইন্টার। বল ধরে বক্সে ঢুকে মার্তিনেসের নেওয়া শট এগিয়ে এসে ঠেকিয়ে দেন ওবলাক। ফিরতি বলে দুরূহ কোণ থেকে বাঁ পায়ে নিচু শট নেন আর্নাতোভিচ, গোললাইনে বল লিনোর পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
শেষ দিকে সমতা ফেরানোর সুযোগ পান মোরাতা, কিন্তু স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
পুরো ম্যাচে গোলের জন্য আতলেতিকোর ৭ শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না। ইন্টারের ১৯ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।
ব্যবধান বড় নয়, আতলেতিকোর তাই এখনও ভালো সুযোগ আছে। আগামী ১৩ মার্চ তাদের মাঠে হবে ফিরতি লেগ।
একই সময়ে শুরু হওয়া শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে পিএসভি আইন্দহোভেনের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
২৪তম মিনিটে চমৎকার গোলে সফরকারীদের এগিয়ে নেন ডোনিয়েল মালেন। ৫৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন লুক ডি ইয়ং। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.