বিটিসি বিনোদন ডেস্ক: জোয়ি সালদানা, ৯৭তম অস্কার আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন। তিনিই প্রথম ডোমিনিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী যিনি অস্কার জিতলেন।
১৯৬১ সালে ‘ওয়েস্ট সাইড স্টোরি’র জন্য রিতা মোরেনোর এবং ২০২১ সালে ‘রিমেক’-এর জন্য আরিয়ানা ডিবোসের পর তিনি এই বিভাগে জয়ী তৃতীয় ল্যাটিন অভিনেত্রী।
মঞ্চে উঠে পুরস্কার গ্রহণের পর সালদানা কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিৎকার করে মাকে খোঁজেন। ‘মামি, মামি’ বলে ডেকে ওঠেন। ভিড়ের মধ্যে তার মাকে খুঁজতে থাকেন, চোখের জল ঝরতে থাকে সালদানার।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার মা এখানে। আমার পুরো পরিবার এখানে। এই সম্মানে আমি অভিভূত।’
এরপর সালদানা বলেন, ‘রিতার মতো একজন মহিলার নীরব বীরত্ব, শক্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং দৃঢ়চেতা মহিলাদের সম্পর্কে কথা বলার জন্য একাডেমিকে ধন্যবাদ।’
তিনি আরও বলেন ‘আমার সহ-মনোনীতরা, আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা এবং সমর্থন দিয়েছেন তা সত্যিকারের উপহার এবং আমি ভবিষ্যতেও ভালো কাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
সালদানা সেরা পরিচালকের জন্য মনোনীত জ্যাক অঁডিয়ারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর সকল অভিনেতা, কলাকুশলীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেইসাথে নেটফ্লিক্স, সেন্ট লরেন্ট প্রোডাকশনস এবং তার দলের বাকি সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান।
অভিনেত্রী তার পরিবারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তার মা-বাবা এবং বোনদের প্রতি বলেন, ’আমি আমার জীবনে যেসব সাহসী চরিত্র বা সিনেমার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ভালো কাজ করেছি তা তোমাদের কারণেই।’
সালদানা মনে করেন, তিনিই অস্কার জেতা শেষ ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী হবেন না, বরং আরও অনেকেই এই জায়গায় উঠে আসবেন।
এই অভিনেত্রী তার দাদিকে সম্মান জানান এবং বলেন, ‘আমার দাদী ১৯৬১ সালে এই দেশে এসেছিলেন। আমি অভিবাসী বাবা-মায়ের একজন গর্বিত সন্তান। যারা ছিলেন স্বপ্নবাজ, এবং কঠোর পরিশ্রমী। আমি ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান যে একাডেমি পুরস্কার গ্রহণ করেছি এবং আমি জানি, আমিই শেষ নই, আরও অনেকেই এই অবস্থানে আসবেন। আমার দাদী যদি এখানে থাকতেন, তাহলে তিনি খুব খুশি হতেন। এই পুরস্কার আমার দাদির জন্য।’
উল্লেখ্য, অস্কারের ৯৭তম আসরে জ্যাক অঁডিয়ার নির্মিত ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমার জন্য জোয়ি সালদানা সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.