কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: কিছুদিন আগে ভারতের ভূখণ্ড অরুণাচলপ্রদেশে ঢুকে পড়ে চীনা সৈন্য, ভারত ও তার মোক্ষম জবাব দেয় বলে সেনা সূত্রে খবর। তারপর থেকেই কারণে অকারণে লালফৌজ ভারত ভূখণ্ডে ঢুকে গতিবিধি বাড়িয়েছে। তারই পাল্টা জবাব দিতে উত্তরপূর্ব ভারতে সমরসজ্জা শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
অরুণাচলের বর্ডার তাওয়াংয়ে বিপুল সমরসজ্জা সেরে ফেলেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে বোফর্স কামান, এম ৭৭৭ আল্ট্রা লাইট হাউৎজার, সি এইচ-৪৭ এফ চিনুক চপার, এল ৭০ গানের মত অত্যাধুনিক অস্ত্র সস্ত্র।জোর কদমে চলছে মহরা ও জওয়ানদের শারিরীক কসরত। সম্ভাব্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ভারত। চীন এক কদম এগোলে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত।
কিন্তু কেন এই ভারতের সমরসজ্জা?
দুদিন আগের সেনাবাহিনীর উচ্চপদাধারিক সূত্রে জানা যায়,এতদিন লাদাখ সীমান্ত নিয়ে অনেক উত্তেজনা গেছে,কিছুটা হলেও চীন তাদের সৈন্যকে লাদাখ সীমান্ত থেকে সড়িয়েছে। এখন নতুন করে অরুণাচলের তাওয়াংয়ের ভূখণ্ডে জোর করে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে,সেখান থেকে অস্ত্র সস্ত্র ছোড়া হচ্ছে বলে খবর।
প্রায়শই চীনা লাল ফৌজ সীমান্ত পার্শ্ববর্তীর এলাকাগুলোতে ঢুকে দখলদারির চেষ্টা করছে। কোন আলোচনা বা আন্তর্জাতিক রীতিনীতির পরোয়া না করেই ঢুকে পড়ছে। তাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী যথেষ্ট বিব্রত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনাবাহিনী ও উচ্চপদাধারিক তথা মন্ত্রীগোস্ঠির সাথে মিলিত হন আর তাতেই আরো জল্পনা চড়মে ওঠে।
এদিকে পাল্টা চীনও বসে নেই। তারাও বিপুল সমরসজ্জা করেছে বলে সংবাদ সংস্থা মারফত খবর। অরুণাচল সীমান্তে ১০০র বেশী লং রেঞ্জরকেট লঞ্চার মোতায়েন করেছে যা কিনা ভারতের হাউৎজার থেকেও দ্বিগুণ ক্ষমতাশালী বলে জানা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে সীমান্তে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতির সাক্ষী হলো সীমান্তের মানুষজনেরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.